প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বরিস জনসন

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান যে তিনি কনজারভেটিভ দলের নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন তবে, তার স্থলাভিষিক্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

জনসনের পদত্যাগের দাবির মধ্যেই তার মন্ত্রীসভার কয়েকজন এবং ৪০ জন জুনিয়র মন্ত্রী ও মন্ত্রীর সহযোগী নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর এমন ঘোষণা আসে।

জনসনের সরকার একাধিক কেলেঙ্কারির ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত জনসন পদত্যাগ না করার বিষয়ে অনড় ছিলেন এবং ক্ষমতা ধরে রাখার অঙ্গীকার করেন।

বুধবার সংসদে প্রথাগত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে, ক্ষুব্ধ ও সংশয়ী আইনপ্রণেতাদের কঠোর প্রশ্নের সম্মুখীন হন জনসন। তার একদিন আগেই অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ অপ্রত্যাশিতভাবে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পদত্যাগ করেন।

ঐ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের আগে, রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা ক্রিস পিনচার-কে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ এক পদে নিযুক্ত করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন জনসন। পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি মাতাল অবস্থায় লন্ডনের এক ব্যক্তিগত ক্লাবে দুইজন পুরুষকে আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, নাম্বার টেন ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মকর্তারা শুরুতে বলেছিলেন যে, পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জনসন অবহিত ছিলেন না। তবে পরবর্তীতে তারা স্বীকার করেন, ঐ আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের পুরনো অভিযোগের বিষয়ে জনসনকে জানানো হয়েছিল।

জনসন অবিলম্বেই সুনাক ও জাভিদের স্থলে তার মন্ত্রীসভার অন্য সদস্যদের নিয়োগ দেন। তবে, মন্ত্রীসভার অপর এক কর্মকর্তা, ওয়েলশ সেক্রেটারি সাইমন হার্ট বুধবার দিনের শেষদিকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন যে, “জাহাজটি ঘোরানোর” সময় পেরিয়ে গিয়েছে।

জনসনকে পুলিশ জরিমানা করার ফলে নিজের কনজারভেটিভ পার্টির ভেতর থেকেই উত্থাপিত এক অনাস্থা ভোটে বেঁচে যাওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাথায় সর্বসাম্প্রতিক এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটল। কোভিড-১৯ লকডাউন চলাকালীন, নিজেরই জারি করা নিয়ম ভেঙে নাম্বার টেন ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজনের জন্য জনসনকে ঐ জরিমানা করে পুলিশ।