জামালপুরে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সরকার কৃষি শিল্পকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় চলতি ইরি বোরো মৌসুমে প্যাকেজ প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কৃষি বিভাগের টার্গেটের দ্বিগুণ জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের ভাষ্যমতে এবার মৌসুমে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে ইরি বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃর্দ্ধ এলাকা। সরকারের প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ লক্ষীর চর, রায়ের চর, তুলশীর চর, কাজিয়ার চর, টেবির চর, রানাগাছা, নরুন্দি, ইটাইল, পিয়ারপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্চ ফলনশীল ব্রি—২৩,২৯,১০২,৮৯,৯২, চিকন জাতের ধান করছে।

পাশাপাশি মোটা জাতের ধান ব্রি টিয়া, ময়না ও সিনজেনটা ব্রি—১২০৫ চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগ এ সব উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে শত ভাগ বিদ্যুত চালিত সেচের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি রোগ বালাই না হয় মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়ত করে যাচ্ছে। সরেজমিনে এ সব এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,সরকার প্যাকেজ প্রকল্পের কারনে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারের প্যাকেজ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে কৃষি বিভাগ। এ সব উপজেলায় সর্বত্র কৃষি বিভাগ শতভাগ সেচ কাজ নিশ্চিত করেছেন। ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগারচর, মেরুরচর, ঝগড়ারচর, মহাদান, ভাটারা, কামরাবদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, ডোয়াইল ও আওনা এলাকায় কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের পরামর্শে এ সব এলাকর কৃষকরা উচ্চ ফলন ধান চাষ করছেন। কথা হয় মহাদান গ্রামের কৃষক আবুল(৬০) কালু(৫০) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার কৃষকদের জন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্যাকেজ প্রকল্প গ্রহন করেছে। এ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়ায় কৃষি অর্থনীতি জাগ্রত হয়ে পড়ছে। ফলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ব্যপক থেকে ব্যপকতর হয়ে পড়েছে।