খালেদার কার্যালয়ে পুলিশ বিস্ফোরক রেখেছে কি না দুশ্চিন্তায় বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশ কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য রেখে এসেছে কি না সে বিষয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন দলটির একজন শীর্ষ নেতা। এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তও চেয়েছেন আরেকজন নেতা।

শনিবার বিএনপি নেত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি শেষ হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত দুই জন নেতা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

গুলশান দুই নম্বরের ৬৮ নম্বর সড়কের ছয় নম্বরের যে বাড়িটি খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন, তাতে রাষ্ট্রবিরোধী নথিপত্র থাকতে পারে-এই সন্দেহে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে আদালতের ওয়ারেন্টের কথা বলে চালানো দুই ঘণ্টার তল্লাশিতে তারা কিছুই পায়নি।

অভিযানের পর গুলশান থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর জানান, যে তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালিয়েছেন, সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি।

তল্লাশি চলাকালে খালেদার কার্যালয়ের ভেতর পুলিশ নানা জায়গা তছনছ করেছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা গুলশান কার্যালয়ের দিকে যেতে থাকেন।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সেখানে গিয়ে এই তল্লাশির নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে চাইছে সরকার।

খালেদার কার্যালয়ের সামনে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও। তিনিই সন্দেহ প্রকাশ করেন পুলিশ এই দুই ঘণ্টায় ভেতরে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু রেখে এসেছে কি না।

সাংবাদিকদেরকে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অগণতা‌ন্ত্রিক সরকার উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমাদের এখা‌নে তল্লা‌শি চালিয়েছে। তারা আমাদের এখানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য রেখেছে কি না, এটা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আ‌ছি।’ ‘

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি আজকের বিষয়‌টির তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।’

সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়ে অযাচিত আচরণ করছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হ‌লে আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না। এ কারণে তারা বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, জয়নাল আবেদিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদও পুলিশি তল্লাশির কথা শুনে খালেদার গুলশান কার্যালয়ে ছুটে যান।