শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুবৎসল যে দেশটি
সম্প্রতি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যেন উপচে পড়ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিয়ে। তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রীও তাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবরে নিয়ে এসেছেন।
বিশ্বের নানা দেশেই বিপদে পড়ে শরণার্থীরা ভিড় করেন। কিন্তু সবাই তাদের সাদরে গ্রহণ করে না। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী দেশ হলো আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত উগান্ডা। এ দেশ থেকে কোনো শরণার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।
উগান্ডা কেন সেরা?
বেশ কয়েকটি কারণে উগান্ডার শরণার্থী নীতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়।
শরণার্থীরা উগান্ডায় এলে তাদের শরণার্থী শিবিরে রাখা হয় না। তার বদলে একখণ্ড জমি দেওয়া হয়। যে জমিতে তারা বসবাস করতে পারবে এবং কৃষিকাজ করে নিজেদের খাবার নিজেরাই উৎপন্ন করে নিতে পারবে।
উগান্ডায় শরণার্থীরা প্রবেশ করলে তাদের প্রত্যেককে একটি করে আইডি কার্ড দেওয়া হয়। এতে তারা আইনগতভাবে স্বীকৃতি লাভ করে। এ কার্ড ব্যবহার করে তারা উগান্ডার ভেতরের যে কোনো স্থানে নিজেদের ইচ্ছেমতো যাতায়াত করতে পারে।
শরণার্থীদের দেওয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তারা চাকরি করতে পারে, ব্যবসা করতে পারে কিংবা নিজেদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে পারে।
উগান্ডাতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই শরণার্থীদের খোঁজখবর রাখা হয়। শরণার্থীরা চাইলেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ফোন করতে পারেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানিয়ে।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সংখ্যার দিক দিয়েও উগান্ডা এগিয়ে রয়েছে। প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে উগান্ডায়। ফলে বিশ্বের পঞ্চম শরণার্থী গ্রহণকারী দেশের মর্যাদা পেয়েছে উগান্ডা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন