প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে শিশুদের দুরন্তপনা
রথ দেখতে গিয়ে কলা বেচার মতো ঘটনা ঘটালো শিশুরা। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গণভবনে নতুন বছরের বই নিতে গিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলে আসলো তারা। আর শিশুদের এই দুরন্তপনা উপভোগ করলেন সরকার প্রধান।
গণভবনে শিশুদের খেলার উপকরণ দেখে সেখানে সময় কাটাতে শেখ হাসিনার কাছে আবদার করেছিল শিশুরা। আর তিন সানন্দে সে অনুমতি দেন।
শনিবার বই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিশুরা গিয়েছিল গণভবনে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করে সরকার। শুরুর দিকে কেবল প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হলেও পরে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেরও বই দেয়া শুরু হয়। আর নতুন বছর শুরুর আগে আগে গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজেও প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন।
এই গোটা অনুষ্ঠানটিই হয় গণভবনে। এবারও শিশুদের হাতে বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। আবদ্ধ পরিবেশ শিশুদের যে তেমন ভালো লাগে না, সেটি বেশ কজন নাতি-নাতনির দাদি ও নানি শেখ হাসিনার। তাই এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি তাদেরকে নিয়ে বের হন গণভবনের মাঠে।
সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলতে থাকে শিশুরা। এই সময় মাঠের বিভিন্ন কোণায় বিভিন্ন উপকরণ দেখে শিশুরা আবদার করে বসে খেলার। প্রধানমন্ত্রীর নাতি-নাতনিদের জন্য এগুলো স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে।
শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ আর স্নেহের প্রমাণ নানা সময় দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই খেলার আবদারও ফেলেননি তিনি। বললেন, ‘যাও খেলো’।
সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা বই রেখে ছুটে যায় খেলতে। এরপর শিশুদের ছুটোছুটি আর দুরন্তপনা দেখে গণভবনের কর্মীরা। মুচকি হাসি দিয়ে তা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
গণভবনের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মাঠে শিশুরা ছিল প্রায় ৪০ মিনিট। পরে তাদের নিজ নিজ স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিশুদেরকে নিয়ে ফিরে যান।
নতুন বই, আর সরকারপ্রধানের বাড়িতে ইচ্ছামতো ছুটোছুটি করার সুখস্মৃতি নিয়ে ঘরে ফিরে শিশুরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন