বাংলাদেশ বিনিয়োগের উত্তম জায়গা : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। আর লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা।
সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের অর্থমন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন কোইকার প্রেসিডেন্ট লি মি কিউং। এসময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা পাওয়া যাবে তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়।
স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে কাইকো খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। অগ্রগতির সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
এসময় কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির প্রেসিডেন্ট লি মি কিউং বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরবো, যাতে বিনিয়োগকারিরা এদেশে আসেন।
ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়ে তিনি বলেন, এক সময় তাদের দেশেরও এ অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙালিরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অবস্থা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডাগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। একদিকে থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আর অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন