ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়, জনসেবার : প্রধানমন্ত্রী
রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাটা ভোগ করার বিষয় না, জনসেবার বিষয়’।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কী ভালো, কী মন্দ, সেটা জানার চেষ্টা করি। মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানেরও চেষ্টা করি। আমি মনে করি, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমাদের কর্তব্য। কাজেই সেটাকে আমি কর্তব্য হিসেবেই নিয়েছি’।
দেশটাকে জানাও একান্তভাবে প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণেই চেষ্টা করে থাকি, কীভাবে মানুষের জন্য একটু কল্যাণকর কাজ করতে পারি’।
সামাজিক সচেতনতার সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ে তোলার ওপর সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদেরও নিজ নিজ এলাকায় কেউ যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। অন্য যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাদেরও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেষ্ট থাকতে হবে। মাদক ব্যবহার, বিক্রি বা বহন করা এগুলো যে অপরাধ, জনগণ এ ব্যাপারে এখন যথেষ্ট সচেতন।
তিনি বলেন, সরকার যাদেরকে আত্মসমর্পণ করাচ্ছে (মাদক ব্যবসায়ী), তাদের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাদক থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছি। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা অন্য কোনো ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে ভালোভাবে চলতে পারে। এভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজি রোধ এবং জঙ্গিবাদ দমনে ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমরা সর্বদা তৎপর। ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, যেখানে যেখানে মাদক চোরাচালান হয়, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বন্ধে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মাদক পরিবহন ও চোরাচালানের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) বিধান রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় মাদক নিরাময়কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কাজী ফিরোজ রশীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, বিশ্বের সব দেশেই ট্রাফিক সমস্যা আছে। লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় দেশেরও এ সমস্যা রয়েছে। কারণ জনসংখ্যা বাড়ছে, মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গাড়ি ব্যবহারের সংখ্যাও বাড়ছে।
তিনি বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। এটা চালু হলে যানজট নিরসন আরও কার্যকর হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানান।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন