গার্মেন্টসকে বাদ দিয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে সরকার

করোনা ভাইরাসসহ নানামুখী জটিলতার কারণে গার্মেন্টসনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে শিল্প প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে দ্রুত উৎপাদনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে ২৮টি ইকোনমিক জোনকে। এদিকে ইকোনমিক জোনে বিদেশি বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির দিকে নজর দিতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দেশে এখন শিল্পকারখানা বলতে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কয়েক হাজার গার্মেন্টস কারখানার পাশাপাশি রয়েছে হাতেগোনা কিছু স্টিল মিল। সমস্যার কারণে প্রায়ই জটিলতার মধ্যে পড়তে হয় গার্মেন্টস সেক্টরকে। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক।

এই অবস্থায় শিল্প নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের জন্য ভারি শিল্পকারখানা স্থাপনের নিদের্শনা আসছে সরকারের কাছ থেকে। আর এসব শিল্পকারখানা স্থাপনে সৃষ্টি করা হচ্ছে ইকোনমিক জোন।

বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ একরের ল্যান্ড ব্যাংক তৈরির কাজ চলছে এবং সেগুলো শিল্পায়নের জন্য তৈরি করা হবে।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১টি ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে জাপানি এবং চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ভারতীয় ও আনোয়ারায় চীনা ইকোনমিক জোন গড়ে উঠছে। পর্যায়ক্রমে আরো ১৭টি জোনের কাজ শুরু হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, এসব ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ আনতে সরকার ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির দিকে যাচ্ছে সরকার।

ল্যান্ড ব্যাংক তৈরির জন্য ৪০ হাজার একর ভূমি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। এ অবস্থায় গার্মেন্টস শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজভিত্তিক শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার তাগিদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব।

তিনি বলেন, এই প্রজেক্টে সরকারের ভালো দৃষ্টি রয়েছে। তবে, আমলাতান্ত্রিকের কারণে যাতে প্রকল্প বিলম্ব না হয়।

আগামী এক দশকের মধ্যে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রথম পর্যায়ে ১১টি ইকোনমিক জোন ২০২৩ সালে উৎপাদনে যাবে।