কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়কে ৮ মরণফাঁদ!
কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের ৮টি বেইলি সেতু মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ এসব সেতু ভেঙে প্রায়ই আটকে যাচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস-ট্রাক। যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
সওজের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজায়ে রাব্বি বলেন, কুমিল্লা সড়ক সার্কেলের আওতায় থাকা মুরাদনগরের ২৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে মুরাদনগর সদরসহ মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা সড়কের দক্ষিণ অঞ্চলের ৮টি সেতু বেশ পুরনো হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে আছে। এ বেইলি সেতুগুলো স্থায়ী পাকা (আরসিসি গার্ডার ব্রিজ) সেতু করার জন্য অনুমোদন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে আটটি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুর পাটাতন (স্লিপার) ভেঙে গেছে। আজ শনিবার পাটাতন ভেঙে কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক আটকে যায়। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। মুরাদনগর সদরে গোমতি নদীর ওপর বেইলি সেতুটিও নাজুক। পিলারের মাটি সরে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে সেতুটি। এ সেতুতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১২ বছর ধরে সেতুটি একই অবস্থায় আছে। ৯ বছর আগে সেতুটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল নিষেধাজ্ঞা দেয় সওজ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাও মানছে না কেউ।
এ ছাড়া রামচন্দ্রপুর রোড়ের করিমপুরের সেতুটির অবস্থাও বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। চুরি হয়ে গেছে সেতুটির লোহার কাঠামোর বিভিন্ন সরাঞ্জম।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজায়ে রাব্বি বলেন, এসব সেতু পাঁচ টনের ওপরে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচলের উপযোগী না। কিন্তু ব্যস্ততম এসব সড়কে এর চেয়ে বেশি বোঝাইয়ের গাড়ি অহরহ চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন