শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো চীন, নিহত ৩

চীনে কয়েক দফা ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং ভূতত্ত্ববিদরা শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিনঘাই প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হওয়ায় সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে ইউনান প্রদেশে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।

ভূমিকম্পটি দালি শহরের কাছে আঘাত হেনেছে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা। প্রতি বছরই সেখানে প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর কমপক্ষে দুইবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকায় কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছে।

প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর ওই এলাকা থেকে ১২শ কিলোমিটার দূরের কিনঘাই প্রদেশে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল মাদুও কাউন্টিতে। কর্মকর্তাদের ধারণা অল্প কিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যে দুই এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সেখানে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থার কয়েকটি টিমকে পাঠানো হয়েছে।

ইউনানের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, সেখানে কিছু ভবন ধসে পড়েছে এবং আরও কিছু ভবন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ওই এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। ভূমিকম্পের পর ২০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চায়না আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) লোকজনকে বহুতল ভবন থেকে দূরে অবস্থানের জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

এর আগে ২০০৮ সালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হয় ৮৭ হাজার মানুষ। এছাড়া ২০১০ সালে কিনঘাই প্রদেশে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।