বঙ্গমাতা দিবসে
দুস্থ নারীদের ৪০ লক্ষ টাকা ও ৪ হাজার সেলাই মেশিন দেয়া হবে

“বঙ্গমাতা দিবসে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে ৪০ লক্ষ টাকা ও ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।”
আগামী ৮ আগস্ট ২০২১ খ্রি. বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর জন্মবার্ষিকীতে ‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে আজ বুধবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নারীদের জন্য‘ক’ শ্রেণীভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে’।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম আগামী ৮আগস্ট ২০২১ খ্রি. বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এবছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে:“বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী”।
এ দিবসে ৮ টি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) জন বাংলাদেশী নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান করা হবে।পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের চল্লিশ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা পত্র প্রদান করা হবে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী মিশন ও দূতাবাসসমূহেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সারাদেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরী ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবন ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সভায় সংযুক্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন।
আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সংযুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, গৃহায়ণ এ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, ঢাকা এর প্রতিনিধি,মহিলাও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ এবং জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















