নওগাঁর পত্নীতলায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্নহত্যা
নওগাঁর পত্নীতলায় গলায় ফঁাস দিয়ে লিখু রাণী (২৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১১টায় উপজেলার চখনিরখীন গ্রামের ভানু হোসেন সাহা (কবিরাজ) মেয়ে গৃহবধূ লিখু রাণী (২৭) উপজেলার পুঁইয়া ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুদর্শন সাহার ছেলে সুমন সাহা (স্বামী) বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে তার শাশুড়ি ও স্বামী সুমন সাহা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সাহার প্রতিবেশি রণজীত শ্রী মানিক বলেন, আমরা হঠাৎ কাউন্সিলার সুদর্শন সাহার বাসা থেকে চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ পায়। তখন আমি দৌড়ে গিয়ে দেখতে পাই সুমন সাহার বউ ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার নিশ্বাস ছিলো। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা বলে সে মারা গেছে। সুমন সাহা ও তার স্ত্রী খুব সুন্দরভাবে ঘর সংসার করে আসতেছিলো। তাদের ভিতরে কোন প্রকার গন্ডোগোল ছিলো না বলে জানান তিনি।
নিহত লিখু রাণী বাবা ভানু হোসেন সাহা জানান, ৯ বছর আগে উপজেলার পুঁইয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুদর্শন সাহার ছেলে সুমন সাহা সঙ্গে লিখু রাণী বিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানের তাদের সংসারে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকবার লিখু রাণীর স্বামী সুমন সাহা ও তার শাশুড়ির সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিলো। আমরা তিন বার বিষয়টি মিমাংসা করে আমার মেয়েকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আজ আমার মেয়ে আমার বাসায় বেড়াতে আসার কথা কিন্তু আমার বিয়াই আমার মেয়ের বাচ্চাকে একাই রেখে যায়। রেখে যাওয়ার আধা ঘন্টা পর শুনতে পাই আমার মেয়ে গলায় ফঁাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন