বৈরী আবহাওয়ায়

সাতক্ষীরায় এবার আম উৎপাদন কম, বাইরের ক্রেতার অভাবে লোকসান!

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে বিষমুক্ত গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ সুস্বাধু বিভিন্ন প্রজাতির দেশি আম। অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরায় আগে ভাগেই আম পাকে। তবে বৈরী আবহাওয়ায়, এবার আম উৎপাদন কম। গতবারের তুলনায় বাহিরের আম ক্রেতা বেশি না পাওয়ায় বিপাকে চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের জন্য অপরিপক্ক আম ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট করছে। যেকারণে বাজারে পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।

রবিবার (২২ মে) সরেজমিনে সুলতানপুর বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোয়ালিটি অনুযায়ী হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে, গোবিন্দভোগ আম কোয়ালিটি অনুযায়ী প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে, কোয়ালিটি অনুযায়ী গোপালভোগ আম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শহর কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু জানান, গত বছরের তুলনায় সাতক্ষীরায় আমের উৎপাদন কম। সুলতানপুর বড় বাজারে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকী করায় এ বাজারে বিষমুক্ত বিভিন্ন আমের দাহিদা বেশি। বিভিন্ন জেলা থেকে আম ব্যবসায়ীরা আসছে আম নিতে। এছাড়াও সাতক্ষীরার বিষমুক্ত গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ সুস্বাধু বিভিন্ন প্রজাতির দেশি আম যাচ্ছে ইউরোপ, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে।

সাতক্ষীরার জেলা সদরের সবচেয়ে বড় আমের মোকাম সুলতানপুর বাজারের আড়তদার আব্দুল হাকিম গাজী জানান, বাহিরের আম ব্যবসায়ী কম আসায় দাম তুলনামুলক হওয়ায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাইকার ও আড়তদাররা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির কথা ভেবে অনেকে আগে ভাগে আম ভেঙ্গে নিয়েছে এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আম ক্যামিক্যাল দিয়ে আম পাকিয়ে দেশের বাজারে তোলায় অনেক এলাকার আম ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যে কারণে আমের দাম নিম্নমুখী। অন্য দিকে ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা একই সময় প্রতিযোগিতা করে বাজারে আম ওঠানোর কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া যাচ্ছে না।