সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাঠাভ্যাস উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র আওতায় উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার কর্মসূচিভূক্ত ৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংগঠকদের (সহকারী শিক্ষক) নিয়ে উপজেলার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের হলরুমে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১লা ফেব্রুয়রি) সকাল ৯টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলি বিশ্বাস।
মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
কর্মশালার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন ও ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কর্মপরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তুলে ধরেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী অফিসার হারুন অর রশিদ মোল্লা, পৌর মেয়র ও প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব, প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র অফিসার রাজেদুল ইসলাম, টিম লিডার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কুরাইশ, মনিটরিং অফিসার কামরুজ্জামান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ‘উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের মন এবং বয়স উপযোগী বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলা। পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, বইপড়া শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি টেকসই ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আজকের এই কর্মশালা।’
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) অন্তর্ভুক্ত স্টেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন