নেত্রকোনায় কয়লা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে মাঝির মৃত্যু

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় উব্দাখালী নদীতে কয়লা বোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবিতে দেলোয়ার হোসেন (২৫) নামের এক মাঝির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকাল প্রায় ৯টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের উব্দাখালী নদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামে । তার বাবার নাম মিয়া হোসেন।

এবিষয়ে কলমাকান্দা ফয়ার সার্ভিসের লিডার এমদাদুল হক মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার ভেতর থেকে মাঝি দেলোয়ার হোসেনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই আয়নাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশন থেকে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কয়লাবোঝাই করে পাটলাই্ নদীর নৌপথে গত সোমবার নেত্রকোনার কলমাকান্দার উদ্দেশে ট্রলারটি ছেড়ে আসে । পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উব্দাখালী সেতু সংলগ্ন ট্রলারটি পৌছার পর শ্রমিক না থাকায় কয়লা ঘাটে তোলা সম্ভব হয়নি। এরপর মাঝি শ্রমিকসহ ৬ জন হোটেলে খাবার খেয়ে রাতে ট্রলারে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শরীর ভিজে শীত অনুভব করায় ঘুম থেকে জেগে ট্রলারটি ডুবে যেতে দেখেন নৌকায় থাকা লোকজন ।

ট্রলারে থাকা তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের শ্রমিক হাফিজ উদ্দিন, গোলকপুর গ্রামের মানিক হোসেন, বালিয়াঘাট গ্রামের অমিত হাসান, আয়নাল হোসেন ও তার সহোদর ভাই টিয়া হোসেন তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তাদের অপর সহোদর মাঝি দেলোয়ার হোসেন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে পরে বুধবার সকাল ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। এতে পুলিশ সদস্যরাও অংশ নেন। পরে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টার দিকে দোলোয়ার হোসেনের মরদেহটি নৌকার ভেতর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেলোয়ারের মরদেহ তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।