চুয়াডাঙ্গায় প্রতিপক্ষের হামলায় দবির উদ্দিন নামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যক্তির নিহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ১৩ দিন আইসিউতে থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় (২৪ মার্চ) শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

মৃত দবির উদ্দিন আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামের মৃত আত্তাব মন্ডলের ছেলে।

এদিকে, দবির উদ্দিনের মরদেহ আলমডাঙ্গায় এসে পৌঁছালে হত্যাকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পৌর শহরের ৭১ স্তম্ভের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে তার সমর্থকেরা (১১ মার্চ) রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। অবিলম্বে এই হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান নেতারা। দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে আলমডাঙ্গা শহরে আন্দোলন গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন বক্তারা।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন, নিহত দবির উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, তার ভাই খবির উদ্দিন ও আশিক ইকবাল স্বপন।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের সমর্থেকরা গত (১১ মার্চ) রাতে নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ওই গ্রামের মৃত আত্তাব মন্ডলের ছেলে দবির উদ্দিন, খবির উদ্দিন,আনিস ও একই গ্রামের ইসলাম লস্করের ছেলে মিয়াজান আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হানপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদের মধ্যে দবির উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। দীর্ঘ ১৩ দিন আইসিউতে থাকার পর গতকাল শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি।