প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়- মির্জা ফখরুল ইসলাম
আওয়ামীলীগ সরকার পনেরো বছরে গনতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান গুলোকে কবর দিয়ে দিয়েছে তাদের একটাই লক্ষ্য যেমন করে হোক তাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে। তারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে দলীয় করণ করতে চায়। মানুষের ভোটের অধিকার তারা দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তির জন্য অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জেলা জেলা মহাসমাবেশ গুলোতে তারা পরিষ্কার বলে দিয়েছে আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এদেশের মানুষ তা আর করতে দেবে না। শুধু আমরা নই আন্তর্জাতিক মহল বলছে, অতিতের নির্বাচন গুলো সুষ্ঠ হয়নি। এবারের নির্বাচন যদি সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ অবাধ না হয় তাহলে সেই নির্বাচন আমরা গ্রহণ করবো না। তাই আমরা সকল শক্তিতে বলিয়ান। আমরা মানুষের শক্তিতে বলিয়ান ও আন্তর্জাতিক বিশ্বেও বলিয়ান।
তাই তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরাদের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৪০ লক্ষ্য মানুষের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করতে। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ নিরদলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যাকে চায় তাদেরকে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যা গুলো দুর করে সবাইকে একসাথে সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকারের লোকজনই হত্যা করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত। আসলে তো এই মহান নেতাকে হত্যা করে তার রক্তের উপরদিয়ে সরকারের মন্ত্রি এমপিরা খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন ১৯৭৯ সালে।
সেদিন এই সেনাবাহিনী নৌবাহিনী বিমান বাহিনীর সদস্যরা খন্দকার মোস্তাককে স্যালুট দিয়ে আনুগত্য ঘোষণা করেন। যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আপনারা মন্ত্রী এমপি বানিয়েছেন। সুতরাং এই মিথ্যা কথাগুলো বলে দৃষ্টি অন্যদিকে নিবেন না। কারণ তখন বিএনপি তৈরি হয়নি। জিয়াউর রহমান তখন ডেপুটি চিফ ছিল তার কোন নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে হঠাতে না পারলে বিএনপিকে কচুকাটা করা হবে, তাই দলের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় আন্দোলনের জন্য আহবান জানান তিনি। এছাড়াও তিনি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের রায় সঠিক হয়নি বলেও প্রশ্ন তুলে বলেন আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী তার বিচার হয়।
আলোচনা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা।এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন সরকারসহ দলটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন