চলতি বছরে সিলেট জুড়ে সড়ক দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন

চলতি বছরে সিলেট জুড়ে সড়ক দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন, আহত হয়েছেন ১০৬ জন। শনিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রকাশিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ৪০২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত, ৬৫১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণমতে সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো হচ্ছে- ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ,দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল-ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার, চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি, যানবাহনের ত্রুটি ও ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো ও সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির কয়েকটি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হল- মোটর সাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা ও চালকদেও বেতন এবং কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতে চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা, গণপরিবহন বিকশিত করা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং মানসম্মত সড়ক নির্মাণ, মেরামত সুনিশ্চিত করা ও নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।