রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১০ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দুর্গাপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল মিয়ার স্ত্রী মোছা. লিমা বেগমকে গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রসব বেদনা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্বজনরা।
স্বামী জুয়েল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে আমার স্ত্রীকে কয়েকজন নার্স জোর করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। একসময় ওইঘরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হঠাৎ আমার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকে। পরে জানতে পারি আমার বাচ্চা মারা গেছে।
লিমা বেগম বলেন, আমি তখন প্রসব বেদনায় কাতর। হাসপাতালে কোনও ডাক্তার ছিল না কয়েকজন নার্স ছাড়া। বার বার নার্সদের ডাকা সত্ত্বেও তারা আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছিল না। তখন আমার চাচি নার্সদের রুমে গিয়ে আমার প্রসব বেদনার কথা বলেন। পরে নার্সরা এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পাশের একটি রুমে নিয়ে যান। রুমে নিয়ে যাওয়ার পর আমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করেন তারা।
প্রসূতি ওই নারীর মা বলেন, আমার মেয়ে সন্তান প্রসব করার পরেও বাচ্চাটির হাত-পা নড়াচড়া করছিল। একটু পরেই নার্সরা বলেন বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। আমার অভিযোগ প্রসবকালীন সময়ে বাচ্চাটি আঘাত পেয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেবুল হোসেন বলেন,প্রসূতির চিকিৎসাসেবা কিংবা অবহেলা ছিলনা। বিলম্বে ভর্তি অথবা অন্য কোনো ধরনের সমস্যার কারণে নবজাতক গর্ভেই মারা যেতে পারে। প্রসবের সময়ও মারা যেতে পারে। এখন স্বজনরা চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন