কলারোয়ায় আবারো দেখা মিললো রাসেলস ভাইপার সাপ!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারো দেখা মিললো ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপ!

উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের সীমান্ত সংলগ্ন একটি মাঠে সম্প্রতি “রাসেল’স ভাইপার” নামের ওই সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলে স্থানীয়রা।

কলারোয়ার হিজলদী গ্রামটি ভারত সীমান্ত ঘেঁষা।

শুক্রবার ওই গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, ‘সম্প্রতি ধানক্ষেতের পাশে সাপটি তিনি দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় কৌশলে সাপটি মেরে ফেলতে সক্ষম হন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারতের সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই গ্রামের এইচ এম ইমরান আহম্মেদ এক যুবক জানান, ‘তার বাড়ির পাশের একটি মাঠে সম্প্রতি ওই সাপটি দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’

একই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিজের ফেসবুকে ছবিসহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিজলদী গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও।

এদিকে, কয়েক মাস আগে পার্শ্ববর্তী সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ পিটিয়ে মারে কৃষকরা। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী একই এলাকায় আরো দুটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায় বলে এলাকাবাসী জানায়।

ওই দুই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার নামের এই বিষাক্ত সাপ বিশেষ করে ধানক্ষেতে আশ্রয় নেয়। কারণ এই দুই এলাকায় ছাড়াও আশপাশে যেখানে এই সাপের সন্ধান মিলেছে তার বেশিরভাগ পাওয়া গেছে ধান ক্ষেতে।’

জানা গেছে, অন্যতম বিষাক্ত ও ভয়ংকর সাপ হলো রাসেলস ভারপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। এর লেজ খুব লম্বা হয় না। সাপটিও বেশি লম্বা না। তবে বেশ মোটা। সাপের মাথা খুব বড়। গায়ে কিছুটা ছপছপ কালো দাগ। এদের প্রধান খাদ্য ইঁদুর।