একটি মাত্র আমলের উচিলায় দুইশত বছরের গুনাহ মাফ
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরুদ শরীফ ও সালাম।
বনী ইসরাইলের এক ব্যক্তি ছিল যে দু’শ বছর হায়াত পেয়েছিল। ওই ব্যক্তি তার এই দীর্ঘ হায়াতে কোনো নেক কাজই করেনি। মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানীতে পুরো যিন্দেগী কাটিয়েছে। যখন তার ইন্তেকাল হলো, তখন তার প্রতিবেশী ও এলাকার লোকেরা, তার কাফন-দাফনের কোনো ব্যবস্থা করলো না; বরং তাকে একটি আবর্জনার স্তুপে ফেলে রাখলো।
এদিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই যামানার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট ওহী মুবারক করলেন, ‘হে আমার নবী ও রসূল হযরত মূসা আলাইহিস সালাম! অমুক এলাকায় অমুক গ্রামে একজন লোক ইন্তেকাল করেছে, এলাকাবাসী তাকে ফেলে রেখেছে। তার গোসল, কাফন-দাফনের ব্যবস্থা কেউ করছে না। আপনি সেখানে যান, গিয়ে ওই ব্যক্তির গোসল-কাফন দাফনের ব্যবস্থা করুন। ’
হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সে এলাকায় গেলেন। এলাকাবাসীদেরকে বললেন, ‘এখানে কি একজন লোক ইন্তেকাল করেছে?’ এলাকাবাসী বললো, ‘হ্যাঁ, একজন লোক ইন্তেকাল করেছে, যে লোকটা দু’শ বছর হায়াত পেয়েছিল। কিন্তু সে কোনো নেক কাজ করেনি। মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানীতে ইন্তেকাল অবধি দৃঢ় ছিল। আমরা তাকে পছন্দ করি না! কারণ, সে একটা বড় বদকার, বড় নাফরমান বান্দা। ’হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম একথা শুনে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করলেন, ‘ইয়া রব্বুল আলামীন! এই লোকটা আপনার নাফরমান বান্দা, বড় গুনাহগার। এলাকার লোকেরা তাকে পছন্দ করে না। কারণ, সে দু’শ বছর হায়াত পেয়েছিল কিন্তু সে কোনো নেক কাজ করেনি। পুরো যিন্দেগী নাফরমানীতে কাটিয়ে দিয়েছে।
তখন মহান আল্লাহ পাক বললেন, ‘হ্যাঁ। তারপরও তার একটা আমলের কারণে তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে, আমি জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠিয়েছি তার গোসল, কাফন-দাফন করার জন্য।
তখন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক! এই লোকটা এমন কি আমল করেছে যার কারণে তার দু’শত বছরের গুনাহখতা মাফ করে দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন তার গোসল, কাফন-দাফনের জন্য! আপনি আমাকে দয়া করে সেই আমলটি জানিয়ে দিন। সেই আমল আমি নিজে করবো এবং আমার উম্মতকে শিক্ষা দিবো। মহান আল্লাহ পাক বললেন, ‘হে আমার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনাকে আমি সেই আমলটির কথা জানাচ্ছি। তা হচ্ছে, আপনার প্রতি নাযিলকৃত কিতাব তাওরাত শরীফ লোকটা একদিন খুলেছিল। খুলেই সে দেখতে পেলো, আমার যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক। সেখানে উনার ছানা ছিফত মুবারক লিপিবদ্ধ ছিল। তা দেখার সাথে সাথে সেই লোকটির অন্তরে উনার প্রতি গভীর মুহাব্বত পয়দা হলো। সে ওই নাম মুবারক চুম্বন করলো, চোখে লাগালো এবং সাথে সাথে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত তথা দরূদ শরীফ পাঠ করলো। তার এই আমল আমার অত্যন্ত পছন্দ হলো এবং আমি তা কবুল করে নিলাম। এই আমলের বিনিময়েই আমি তার দু’শ বছরের গুনাহখতা ক্ষমা করে আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর রসূলকে পাঠিয়েছি তার গোসল, কাফন-দাফনের জন্য। সেই সাথে আমি সত্তরজন জান্নাতী হুরের সাথে তার বিবাহ সম্পাদন করবো।
সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কি অতুলনীয় শান মুবারক! উনাকে যদি কেউ এক পলকের তরেও হাক্বীক্বীভাবে মুহাব্বত করতে পারে, তাহলে তার যিন্দেগী কামিয়াব হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন