ফের উত্তপ্ত দেশ, রাজধানীতে বিজিবির টহল জোরদার

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকাসহ দেশের অনেক জেলায় গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলা-ভাঙচুর-পুলিশের সঙ্গে সঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বহু এলাকায়। হবিগঞ্জে গুলিতে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ অবস্থায় রাজধানীর একাধিক স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সচিবালয়, আগারগাঁও, ডিপ্লোম্যাটিক জোন, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়, উত্তরা, মতিঝিল শাপলা চত্বর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন ও টহলে থাকবে বিজিবি।

এদিকে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার সম্মিলিত উদ্যাগে জনসমুদ্রে পরিণত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় তারা ‘আমার ভাই মরল কেন, স্বৈরাচার জবাব চাই। রক্তের ডাক দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক। জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’- এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

শহীদ মিনারে সমাপনী বক্তব্যে চিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আজকে সারা দেশে, সারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, চিকিৎসক, জনতা, আইনজীবী, সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সবাইকে আমাদের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

সরকারের উদ্দেশে চিকিৎসক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এখনো যারা কারাগারে রয়েছে তাদেরও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে। কারণ, আপনারা শাসন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার অযোগ্যতা প্রদর্শন করেছেন।’