বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদের সর্বশেষ সংখ্যা জানালো স্বাস্থ্য উপ-কমিটি

প্রথমে কোটা সংস্কার এবং পরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও অগাস্টে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় শহিদ ও আহতদের সর্বশেষ সংখ্যা জানাল স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।

সর্বশেষ তথ্যমতে, সারা দেশে মোট ১৫৮১ জন শহিদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে এ কমিটি। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা।

শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য উপ-কমিটি, নাগরিক কমিটিসহ অংশীজনদের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে এটাই চূড়ান্ত নয় বলে জানান কমিটির সদস্যরা। তারা জানান, অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনও এ তালিকায় যুক্ত হয়নি।

এ সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেক রেজা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রাথমিক তালিকায় মোট ১,৫৮১ জনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তালিকাটির তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর এ কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা প্রদান করবে।’

তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়নের কাজে আমাদের সহায়তা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এ তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা শহিদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনও হয়ত আরও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা শহিদ হলেও তাদের নাম এ তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিটি নাম ও তথ্য ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।