চিকিৎসক সংকট নওগাঁর মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা


নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। শুধু ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম। চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী।
চিকিৎসক না থাকাতে ৫ লাখের অধিক জনসংখ্যার চিকিৎসা সেবা দিতে নাজেহাল অবস্থা চিকিৎসকদের। মান্দাতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসক সংকটে তার সুফল ভোগ করতে পারছে নাউপজেলাবাসী জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে যায়।
চিকিৎসক না থাকাতে ছোট ছোট সমস্যাতেও রোগীদের রেফার্ড করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জানা গেছে, এখানে ২৪ জন মেডিকেল কর্মকর্তা থাকার কথা। যার বিপরীতে রয়েছেন মাত্র আট জন চিকিৎসক। এই ৮ জনের মধ্যে অন্যত্র ডেপুটেশনে আছে ৪ জন। এখন আবাসিক কর্মকর্তাসহ হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক।
৪ জন মেডিকেল কর্মকর্তা দিয়ে উপজেলার ৫ লাখের বেশি জনসংখ্যার রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে কর্মস্থলে না থাকার অভিযোগ। হাসপাতালে রয়েছে ৩১ জন নার্স। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। থাকার কথা ৫ জন রয়েছে একজন। আউটসোর্সিংয়ের রয়েছে ৭ জন। আয়া ও ওয়ার্ডবয় থাকার কথা ৭ জন রয়েছে ২ জন।
প্রতিদিন ইনডোরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ জনের অধিক। আউটডোরে গড়ে ৩৫০ জন ও ইমারজেন্সিতে গড়ে ১০০ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এ ছাড়া নরমাল ডেলিভারী, সিজারিয়ান অপারেশন ব্যবস্থাসহ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা ব্যাবস্থা রয়েছে হাসপাতালটিতে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মহাসড়কের পাশে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক। মাঝে মধ্যে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে মহাসড়কে। আহতদের দ্রæত চিকিৎসার জন্য সেখানে নেওয়া যায় সহজে। কিন্তু চিকিৎসক যদি না থাকে তাহলে হাসপাতালে নিয়ে কী হবে? সেখান থেকে হয় নওগাঁ সদর হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। এ কারণে অনেক রোগী রাস্তাতেই মারা যায়। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী জহুরুল ইসলাম জানান, আগে ডাক্তার ছিল, রোগীও ছিল। এখন ডাক্তার নেই। তাই রোগীও কম আসে। ডাক্তার কবে আসে, কবে চলে যায়, কিছুই বোঝা যায় না। এভাবে একটা হাসপাতাল চলে না।
কয়েকদিন এসে খবর নিলাম স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেও হাসপাতালে নিয়মিত আসেনা। হাসপাতালের পাশেই বসবাস করেন রাকিবুল ইসলাম রানা জানান, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। অতি দ্রæত উপজেলাতে চিকিৎসক সংকট দূর করতে হবে। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, আমিসহ মাত্র চারজন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
মর্নিং, ইভনিং, নাইট তিন শিফট চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে। বহির্বিভাগ, ইনডোর,আউটডোর ও ইমারজেন্সিতে রোগীদের অনেক চাপ রয়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগী নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উপরে জানানো হয়েছে। চিকিৎসক আসলেই এ সমস্যা আর থাকবেনা।
কর্মস্থলে না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি হাসপাতাল থাকিনা রাজশাহী শহর থেকে নিয়মিত যাতায়াত করি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন