নওগাঁর পত্নীতলায় ন্যায্য বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর পতœীতলায় ন্যায্য বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (১৬ মে) শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নের আমবাটি জিয়াবাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভ‚ক্তভোগীরা।

এসময় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,পত্নীতলা উপজেলার অশোকানাই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ভুক্তভোগী ছানোয়ার ও পার্শ্ববর্তী ধামইরহাট উপজেলার শিবরামপুর (পিড়লডাঙ্গা) গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রোস্তম আলী সহ প্রমূখ।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,আমরা আমাদের পরিবারের স্বার্থে উন্নত জীবন যাপন ও পরিবারে সহ সহজগিতা করার লক্ষে শ্রমিক হিসাবে সৌদি আবর যাবার সিদ্ধান্ত নেই। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধামইরহাট উপজেলার চকযদু গ্রামের মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম কে বিষয়টি জানাই।

কারণ সে দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে থাকেন। তাছাড়া তিনি নিয়মিত লোকজন নিয়ে যান সৌদি আরবে। সেই সুবাদে আমরা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের শ্রমিক হিসেবে নিয়ে যেতে রাজি হয়। কিন্তু তিনি শর্ত দেন যে সৌদি আরবে আসতে হলে এবং ভালো কাজ করতে হলে আমাদের প্রত্যেক কে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার করে নগদ টাকা দিতে হবে।

আমরা অনেক অনুরোধ করার পরে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দুই জনের মোট ১১ লক্ষ টাকায় নিয়ে যেতে রাজি হন। তার কথা মতো তার স্ত্রী রাফি ও শ্যালক সম্রাট কে আমরা নগদ ১১ লক্ষ টাকা দেই। কথা অনুযায়ী আমাদের গত জানুয়ারী মাসে আমাদের ফ্লাইট হয়।

সেখানে যাবার পরে শরিফুল আর আমাদের কাজ না দিয়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দেয়, আমরা অনেক অনুরোধ করলে শরিফুল ইসলাম আমাদের জানায় এখানে কাজ পাইতে হলে আমাদের দুইজন কে আরো ১ লক্ষ করে মোট ২ লাখ টাকা দিতে হবে। আমাদের পরিবার বাধ্য হয়ে তাদের কে সেই টাকাও শরিফুলের স্ত্রী ও শ্যালককে দিয়ে দিই।

তারপরেও কাজ না দিলে আমরা প্রতিবাদ জানালে আমাদের মারপিট করে এবং জেলে দেওয়ার ভয় দেখায়। এমনকি আমাদের আকামাও তিনি দেয়নি। এই ভাবে প্রায় তিন মাস চলে। অবশেষে আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের পরিবারের সাথে কথা বলে টিকিটের টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসি।

আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি শরিফুল, তার স্ত্রী রাফি ও শ্যালক সম্রাট তারা একটি মানব পাচার গ্রæপের সাথে জড়িত আছে। এমতাবস্থায় ন্যায্য বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।