সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জলবায়ু সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাহসী ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন। সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক সামিউল আজম ইমাম মনির। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারীদ বিন শফিক, একশনএইডের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব, প্রোগ্রাম অফিসার ইসরাত জাহান সিদ্দিকী এবং মনিটরিং ও লার্নিং অফিসার জিহান সোহানা নাবী।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু সংকট আজ আর শুধু একটি পরিবেশগত ইস্যু নয়—এটি এখন মানবিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের রূপ নিয়েছে। কার্বন নিঃসরণ, শিল্পবর্জ্য ও কৃষিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশেষভাবে পড়ছে উপকূলীয় জনপদে, যার অন্যতম শ্যামনগর। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল প্রতিবেদন এবং তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ শুধু সমাজকে সচেতনই করে না, বরং রাষ্ট্র ও নীতিনির্ধারকদেরও দিকনির্দেশনা দেয়।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য জলবায়ুবিষয়ক রিপোর্টারদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননায় ভূষিত হন সহকারী অধ্যাপক সামিউল আজম ইমাম মনির (দৈনিক সমকাল), অনাথ মন্ডল (দৈনিক ইত্তেফাক) ও বেলাল হোসেন (দৈনিক আমাদের সময়)। উপস্থিত সবার করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে মিলনায়তন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, হুসাইন বিন আফতাব, এস এম মিজানুর রহমান ও সুলতান শাজাহান। তারা বলেন, তথ্য-নির্ভর সাংবাদিকতা শুধু সত্যকে তুলে ধরে না, বরং সমাজ পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবেও কাজ করে।
আয়োজকেরা আশা প্রকাশ করেন, জলবায়ু সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।