অটোমেশন বিকল হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে তিস্তা ব্যারেজ

তিস্তা ব্যারেজের অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম বিকল হয়ে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে ব্যারেজ ও এর যাবতীয় স্থাপনা। তবে ঢলের মুখে সবচে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে প্রকল্প এলাকার মানুষ।

অভিন্ন এই নদীর পানির যথেচ্ছ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ নতুন নয় উজানের দেশ ভারতের বিরুদ্ধে। তীব্র খরার সময় একতরফা পানি প্রত্যাহার আর বর্ষায় ঢল সামলাতে সব বাঁধ খুলে দেয় তারা। যে বছর পানি বা ঢল বেশি নামে সে বছর দুর্দশার শেষ থাকে না ভাটির অঞ্চল রংপুরে। এবার মৌসুমের শুরুতেই সিকিমের ভারি বর্ষণ ঢল হয়ে ধেয়ে আসছে।

এলাকাবাসীরা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পানি বেশি।

প্রকল্প অনুযায়ী ব্যারেজের পানি নিঃসরণ ক্ষমতা সাড়ে চার লাখ কিউসেক। এর বাড়তি পানি বা ঢল এলে ব্যারেজের পাশে ফ্লাড বাইপাসের ফিউজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে গিয়ে বিকল্প পথে ঘুরে গিয়ে বাড়তি পানি আবার নদীতে পড়ার কথা।

কিন্তু ২০১৭ সালের তীব্র ঢলে বাড়তি চাপেও ফ্লাড ফিউজ ওপেন না হওয়ায় চরম ঝুঁকিতে পড়ে ব্যারেজ ও পুরো এলাকা।

কিন্তু গত বছর ব্যারেজের অপারেশনাল সিস্টেম আধুনিকায়নের নামে ছয় কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে। বিষয়টি অনুসন্ধানে কন্ট্রোল টাওয়ারে গিয়ে পাওয়া গেলো না অটোমেশন সিস্টেমের কোন যন্ত্রপাতি।

প্রথমে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও পরে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দাবি আধুনিকায়ন হলেও লোকবল না থাকায় ম্যানুয়াল সিস্টেমে ব্যারেজ অপারেট করা হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারেজ যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আমদের মেইন যে গেট তা সুইচের মাধ্যমে যতটুক দরকার ততটুক উঠাবো নামাবো।

এ অবস্থায় ব্যারেজ ও এর সকল স্থাপনা,এলাকার মানুষের প্রাণ ও সম্পদ সবকিছুই অনিরাপদ।