‘ইয়াবা বিক্রি করতে না চাওয়ায়’ গুলি করে হত্যা

রাজধানীর বাড্ডায় বাদশা মিয়া নামে যে ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, তার স্ত্রী জানিয়েছেন, ইয়াবা বিক্রি করতে রাজি না হওয়াই এই খুনের কারণ।

শনিবার দুপুরে বাদশা মিয়াকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে হাতিরঝিল এলাকা থেকে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ওই যুবকের নাম নূরুল ইসলাম ওরফে চাক্কু নূরুল।

বাড্ডা থানার পুলিশ জানিয়েছে নুরুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে নিহত বাদশা মিয়ার লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শিউলী বেগম এবং মা আমেনা বেগম।

এ সময়ে সাংবাদিকদের শিউলী বেগম জানান, ১১ বছর আগে বাদশাহর সঙ্গে পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে হয়। তার স্বামী একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং গাজীপুরা এলাকায় কিছু ব্যক্তি তাকে ইয়াবা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা গাজীপুরা থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে বাদশা মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।

রবিবার বাদশাহের লাশের ময়নাতদন্তের পরে আজিমপুর কবরস্থানে বাদশাকে দাফন করা হবে।
নিহত বাদশা মিয়া শরীয়পুর জেলার ডামুড্যা থানার মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তিনি মেরুল বাড্ডার মাছ বাজারের কাছে আবদুর রশিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

বাড্ডায় বাদশা মিয়াকে গুলি করে পালানোর সময়ে দুপুরে হাতিরঝিলে শনিবার দুপুরে অস্ত্রসহ ধরা পড়েন নুরুল ইসলাম ওরফে চাক্কু।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘শনিবার দুপুর একটার সময়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাদশাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। তারপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগণ ধাওয়া করে হাতিরঝিলে নুরুল ইসলাম নামে একজনকে রিভলবারসহ ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়।’

তবে কী কারণে বাদশাহকে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন ওয়াজেদ আলী। বাদশাহের স্ত্রীর অভিযোগের বিষয় জানালে ওসি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নেব।’

শনিবার দুপুর দেড়টার সময়ে মেরুল বাড্ডা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের পিছনে বাদশাহর মাথায় গুলি করা হয়। পরে বাড্ডা থানার সহকারী উপপরিদর্শক টুটুল আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার সময়ে তার মৃত্যু হয়।