বাংলাদেশে এক মানবিক সেনাবাহিনীকে দেখছে ১০ লাখ রোহিঙ্গা

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াও সমন্বয়ও করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করার পরে সেখানকার কাজে শৃঙ্খলাসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়। সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আসার আগে যত্রতত্র ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্যুসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু, এখন সবকিছু একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে।

রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে এক অত্যাচারী সেনাবাহিনীকে দেখেছে। পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে তারা দেখছে এক মানবিক সেনাবাহিনীর রূপ।

আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্দেশক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন ও ৬৫ ডিভিশন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।

উখিয়ার প্রবেশ পথে ত্রাণ সংগ্রহ ক্যাম্প থেকে শুরু করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে সেনা সদস্যদের অক্লান্ত সেবার ছাপ পরিষ্কার। এছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা রেজিষ্ট্রেশনেও তারা সরাসরি কাজ করছে।

ক্যাম্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে সেনা সম্বনয় কেন্দ্রের বৈঠকে (যা প্রতি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়) উপস্থিত থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।