জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নাটোরে বাড়ি ঘেরাও

নাটোরের পুলিশ লাইন এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুর থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই বাড়িতে ৬জন আছে বলে ধারণা করছে র‌্যাব।

এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরে জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে ৫ জঙ্গিসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. একরামুল হক ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জঙ্গি আস্তানায় পানি ছিটাচ্ছিল। এ সময় ওই আস্তানা থেকে দুই শিশুসহ আটজন বের হন। বের হয়েই তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর বোমা ও বর্শা নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জঙ্গিরা আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পাঁচ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আব্দুল মতিন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিবজুর আলম মুন্সি বলেন, ভোর থেকেই ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছিলো। সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেখানে এক নারীসহ চারজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের মধ্যে গৃহকর্তা সাজ্জাদ আলী থাকতে পারেন। অভিযানে সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, নিহত আবদুল মতিনের বাড়ি গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়নের মাটিকাটা এলাকায়। তার শরীরে বোমা ও দেশীয় অস্ত্রের মারাত্মক আঘাত রয়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. একরামুল হক জানান, জঙ্গিরা মারা যান আস্তানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে এদের মধ্যে গৃহকর্তা সাজ্জাদ আলী থাকতে পারেন। অভিযানে তার সাত বছরের ছেলে ও দেড় মাসের কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। আস্তানার ভেতরে একজন ‘সুইসাইড ভেস্ট’ (আত্মঘাতী বন্ধনী) পরে অবস্থান করছেন।