নাটোরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণ!! ৩ ধর্ষকসহ দুই সহযোগী আটক

নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনার সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে তিন ধর্ষক এবং দুই সহযোগীকে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হচ্ছেন, শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ধর্ষক রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া এ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতার অভিযোগে শহরের হাফরাস্তা থেকে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়া বাসায়।

জানাযায়, রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন বিয়ে করার উদ্দেশ্য। পরে স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। এই দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে সেখানে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় তারা দলবদ্ধভাবে ঐ ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ধর্ষিতা এবং তাঁর প্রেমিক ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।

ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সক্রীয় হন নাটোর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নাটোর সদর থানার এসআই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে চালায়। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়। তিন র্ধষক শহরের চিহিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের অটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।