এবার ভারতীয় গরু প্রবেশে সীমান্তে কড়াকড়ি

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে গরু না আনার জন্য যশোরের শার্শা সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বিজিবি-বিএসএফ। বাংলাদেশি মানুষ যাতে অবৈধভাবে ভারতে না ঢোকে, এ জন্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিজিবি মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন প্রচারাভিযান শুরু করেছে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী সীমান্তে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জনসচেতনতামূলক সমাবেশ হয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল-মামুন বলেন, ‘যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশি গরুর রাখাল যাতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ না করতে পারে, এ জন্য বিজিবির সদস্যরা তৎপর।’

২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. তৌহিদুল ইসলাম।

এ সময় মাদক পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দেন বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি মহসিন মিলন, পুটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ ও ইউপি সদস্য আব্দুর রব।

প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল-মামুন বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী–শিশু পাচারসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নির্মূল করা হবে। আমরা সীমান্ত হত্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছি।’

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিরা ঢুকে কোনো ধরনের অনাচার করলে গুলি করা হবে। যে কারণে সীমান্তের শূন্যরেখা দিয়ে রাত ১০টার পরে চলাচল করতে জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য বিজিবি আহ্বান জানিয়েছে। জনসচেতনতার অংশ হিসেবে এ ধরনের মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে।’

ভারত সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পর যশোরের চারটি করিডর দিয়ে ভারতের গরু আসা কমে গেছে।