ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে তৎপর র‌্যাব

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা আনন্দঘন ও নিরাপদ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ঈদ উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফিরে আসা পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার কথাও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান একথা জানান।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রাকে আনন্দঘন ও নিরাপদ করার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস সবসময়ই কাজ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক নগরবাসী র‌্যাব-৩ এর আওতাধীন কমলাপুর স্টেশন হয়ে ঘরে ফিরবেন। কমলাপুর থেকে মানুষের ঘরে ফেরা এবং নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করার জন্য র‌্যাব-৩ তৎপর রয়েছে। শুধু তাই নয় ঈদের সময় যেসব শপিংমলগুলোতে কেনাকাটা হয় এবং যেসব স্থানে মানুষের সমাগম হয়, অর্থাৎ ব্যাংক থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।

এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধুমাত্র চেকপোস্টে সীমাবদ্ধ না রেখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথাও জানান তিনি।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুতসহ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করার কথা জানিয়ে এমরানুল হাসান বলেন, ঈদের পরেও যাতে মানুষ নিরাপদে বাড়ি থেকে ফিরতে পারে সে পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।

আসা-যাওয়ার মধ্যে যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে না পারে এবং কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য র‌্যাব ফোর্সেসের পক্ষ থেকে র‌্যাব-৩ সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই কল্পে গোয়েন্দা নজরদারি থেকে শুরু করে পেট্রোল, চেকপোস্ট অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।

টিকিট কালোবাজারি এবং টিকিট বিক্রির সময় বিড়ম্বনা এড়াতে র‌্যাব-৩ তৎপর রয়েছে জানিয়ে এমরানুল বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির তথ্য পেলে আমাদের জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে আমরা নিজেরাই নজরদারিতে রাখছি।