ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ঝুঁকিতে রাজধানীর ১৮ এলাকা!

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি এলাকা ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

তবে সিটি করপোরেশন খুব একটা আমলে নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর একসাথে কাজ করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। যদিও কর্তৃপক্ষ শুনাচ্ছে বরাবরের মতই আশার বাণী।

গত কয়েকমাস ধরেই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। যদিও এর অধিকাংশই কিউলেক্স মশা হওয়ার কারণে দেখা দেয়নি বড় কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব। তবে এরই মধ্যে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি।

স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ১৯টি স্থান ঝুঁকিতে রয়েছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার। এ এলাকার বিশ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে রয়েছে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র।

উত্তর সিটি করপোরেশনের বনানী, বসুন্ধরা, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগ, মিরপুর ১, মহাখালী ডিওএইচএস, নাখালপাড়া, শেওড়াপাড়া, টোলারবাগ আর উত্তরার পাশাপাশি দক্ষিণে বাংলাবাজার, ধানমন্ডি ১, এলিফেন্ট রোড গুলবাগ, মেরাদিয়া,মিন্টু রোড এবং শান্তিনগর রয়েছে বেশি ঝুঁকিতে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা, মশক নিয়ন্ত্রনের স্বাভাবিক কার্যকলাপেও সন্তুষ্ট নন সাধারণ মানুষ।

নগরপরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় না থাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মশা নিয়ন্ত্রণে আগাম সতর্কতার কথা বললেও দায়সারা জবাব সিটি করপোরেশনের।