নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত জনজীবন

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর ও দেশের সব নদী বন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মাওয়া ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সারাদেশের লঞ্চ চলাচল। বরিশাল, চাঁদপুর, ভোলা থেকে কোন লঞ্চ বা ফেরি চলাচল করছে না।

নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে চলছে দমকা ঝড়ো বাতাসের সাথে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। পটুয়াখালীর চর, মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর ও জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লালুয়া, নিজামপুর, চরমোন্তাজ, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, চালিতাবুনিয়ায় বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম।

গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬৪.২ মিলিমিটার। রাতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু জোয়ারে উপকূলের অর্ধশতাধিক চর, মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর ও জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে অসংখ্য মাছের পুকুর ও বিস্তীর্ণ আমন ক্ষেত। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো বাতাসে কবাই নদীর চরে সতরাজ এলাকায় ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে আটকা পড়েছে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী দোতলা লঞ্চ এম. ভি দ্বীপরাজ-টু। লঞ্চটি উদ্ধারে পটুয়াখালী থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে উদ্ধারকারী লঞ্চ রওনা হয়েছে।