নির্বাচনের আগে জঙ্গিদের টার্গেট বিশিষ্টজনেরা!

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বড় ধরণের নাশকতা’র পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যার চেষ্টা চালাতে পারে বলে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আশংকা উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো পুলিশের বিশেষ শাখার একাধিক চিঠিতে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রস্তুতির সুযোগে জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গেলো ৯ অক্টোবর পুলিশ হেড কোয়ার্টারের বিশেষ শাখা থেকে দেশের বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো সতর্ক বার্তায় ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনসহ অন্যান্য জঙ্গিরা নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করছে বলে উল্লেখ করা হয়।’

সিএমপি’র কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেন, ‘তাদের পুরনো আস্তানা, কোথায় থাকে, কী করে, জামিন প্রাপ্ত জঙ্গিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ। এছাড়া আমাদের ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ক জঙ্গিদের কর্মকান্ড সম্পর্কে খবর রাখছি।’

পুলিশ ইউনিটগুলোকে ১১ দফা নির্দেশনা সম্বলিত পাঠানো চিঠিতে জঙ্গিরা নির্বাচনী প্রচার, সভা-সমাবেশে হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। জঙ্গিরা যেনো কোনো ভাবে তাদের কর্মকান্ড চালাতে না পারে সেই জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেড কোয়ার্টারের অপর এক চিঠিতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠগুলো’ও নির্বাচনী অস্থিরতার এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে।

সিএমপি’র পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, ‘জঙ্গিরা পুনুরায় সংগঠিত হতে পারে অথবা সদস্য সংগ্রহ করতে পারে, এমন কিছু তথ্য আমরা পাচ্ছি। এর বিপরীতে আমরা নজরদারী করছি।’

সবশেষ ১৫ অক্টোবর নরসিংদীতে পাওয়া যায় পৃথক দু’টি জঙ্গি আস্তানা। এর আগে গত ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পাওয়া গিয়েছিলো আরো একটি জঙ্গি আস্তানা। যেখানে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এবং আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যু হয়।