নির্মাণ শেষের আগেই আয় শুরু করেছে পায়রা বন্দর

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আয় করতে শুরু করেছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা। সীমিত পরিসরে চলছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। এগিয়ে চলেছে জেটি, নৌ ও সড়ক পথের নির্মাণ কাজ। বন্দরের মধ্যে একমাত্র পায়রা সমুদ্র বন্দরটির সবকিছুর নির্মাণ কাজ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী হচ্ছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের।

তিন ধাপে নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম ধাপে স্বল্প মেয়াদের কাজ শেষ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, নিরাপত্তা ভবনসহ অস্থায়ী জেটি সংলগ্ন রামনাবাদ চ্যানেলের পাশে ৪৮ একর জমির উপর এখন দৃশ্যমান বহু স্থাপনা।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, যে কাজগুলো আমাদের হয়েছে তা-হলো প্রশাসনিক ভবন, অফিসার্স ডরমেটরি, স্টাফ ডরমেটরি।

এখন চলছে বন্দরটির দ্বিতীয় ধাপে মধ্য মেয়াদী নির্মাণ কাজ। যার মধ্যে আছে বন্দর থেকে কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের ৪ লেনের সংযোগ সড়ক, পণ্য খালাসের জন্য আন্ধারমানিক নদীতে একাধিক অত্যাধুনিক স্থায়ী জেটি নির্মাণ, রামনাবাদ চ্যানেলটিতে জাহাজ চলাচলের জন্য নাব্য তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ খান। তিনি বলেন, আমরা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।

এদিকে সাতটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সম্পাদন হবে অসমাপ্ত বাকি কাজ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো বা অর্থ ব্যয় বাড়ানোর যে কথা বলা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই বলেও জানান তিনি।

দ্বিতীয় ধাপে মধ্য মেয়াদী কাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।