নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ঘোষণা ‘আসল বিএনপি’র

‘আসল বিএনপির’ উদ্যোক্তা দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম আগামী ১৭ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার মুক্তি পেয়ে গেলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তিনি ‘জনতার উচ্চ আদালত’ বসাবেন। সেখানে খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হবে- বিএনপির ‘রোগের কারণ কী?’

‘বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা’দাবি করা নাসিম বলেন, ‘সেই উচ্চ আদালতে বিচারক হবে লক্ষ মানুষ। আর যদি উনি মুক্তি না পান তাহলেও আমরা ১৭ নভেম্বর সমাবেশ করব। সেই সমাবেশে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ৩২০ জন নেতা কথা বলবেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় দেশের মানুষ নির্বাচন বয়কট করবে না বলে মন্তব্য করে কামরুল বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনমুখী। তারা তারেক রহমানের চাকর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় নির্বাচন প্রতিহত করতে চায় না।’

সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ হতে হবে মন্তব্য করে কামরুল হাসান নাসিম বলেন, এর বাইরে অন্যদের সংলাপে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে পার্টিসিপেন্ট হবে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই সমস্ত এরা কারা? অপদার্থ লোকগুলো শুধু দেহ ছয় ফুটের মত থাকলে তো হবে না। জানেই না তারা কথা বলতে। দেশ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাদেরকে নিয়ে ত্রিশ-বত্রিশজনের সংলাপ!’

আওয়ামী লীগ সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগকে বলছি, আপনারা প্রহসন করবেন না। যারা রাজনৈতিক অপশক্তি, তাদের দমন করুন। নইলে আমি দেখছি আগামী ৭২ ঘণ্টার পর বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশ বিবর্ণ হবে।’

নিজেকে একটি ‘আধ্যাত্মিক সত্তা’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু এসেছি,আমার বাবা-ভাই বঙ্গবন্ধু ছিল না। জিয়াউর রহমান ছিল না। আমি সাধারণ ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলে। কিন্তু আমি তো এখন ব্র্যান্ড, কামরুল হাসান নাসিম তো ব্র্যান্ড। আমি আমার যোগ্যতায় এখানে এসেছি।’