পাইলট-ক্রুসহ নিহত ১৪ বাংলাদেশি শনাক্ত

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পাইলট ও ক্রু রয়েছেন। শনাক্তের তালিকায় রয়েছেন নেপালের ১০ জন এবং চীনের একজন।

শনাক্ত বাংলাদেশিরা হলেন আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা সাইফুল্লাহ, জামান অনিরুদ্ধ, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, মিনহাজ বিন নাসির, মো. রবিউল হাসান, মো. মতিউর রহমান, মো. রফিকুজ্জামান, মোছা. আক্তারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, এস এম মাকসুদুর রহমান ও বিলকিস আরা।

ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি (টিইউ) টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজেন শ্রেষ্ঠের বরাত দিয়ে নেপাল প্রবাসী আশিক কাঞ্চন জানান, ‘এ পর্যন্ত ২৫টি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। এখনও যাদের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মধ্যদিয়ে শনাক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন ডা. রিজেন শ্রেষ্ঠ’।

গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার পাইলট-ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।