পাক দূতাবাসে ফখরুলের ‘যাতায়াত’ ষড়যন্ত্রের আভাস : আ’লীগ

নির্বাচনের আগে পাকিস্তান দূতাবাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘যাতায়াত’ ষড়যন্ত্রের আভাস দেয় বলে মন্তব্য করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রোববার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে দূতাবাসে যাতায়াত থাকতে পারে। তবে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার করে।

‘একদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন বৈঠক, অন্যদিকে পাকিস্তানি দূতাবাসে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎ ও গোপন বৈঠক ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়।’

তবে কবে কখন মির্জা ফখরুল পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আব্দুর রহমান বলেন, দুই বৈঠক একই সূত্রে গাঁথা। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সাক্ষাৎ আসন্ন নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিকে বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি রয়েছে।

আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টি কতগুলো আসন পাচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই বিষয়টি আমরা পরিষ্কার করতে পারবো আজ বিকাল নাগাদ। এই ব্যাপারটা জানার জন্য আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।

কত আসনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে মীমাংসা হয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এই মুহূর্তে আনুমানিক কিছু সংবাদ মাধ্যমে বলা উচিত হবে না। আমরা আশা করি, সন্তোষজনক একটি মীমাংসা হবে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোলা চিঠির আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছেন। যে কয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুই থেকে তিনজন বাকি আছে মনোনয়ন প্রত্যাহারে।

আব্দুর রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, বাকিগুলো আজকে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না।