‘বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের অন্যতম’

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য। উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সংবিধান। মঙ্গলবার ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এরপর অতি স্বল্প সময়ে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে এ অনন্য সংবিধান উপহার দেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।

‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার উৎস জনগণ’ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় ও সংগতি থাকতে হবে।

স্পিকার বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে- যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলার ঠিকানায়। এরই মধ্যে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জিত হয়েছে। এসডিজির (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) লক্ষ্যে কাজ চলছে, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

এ সময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স, আর্মড ফোর্সেস ওয়ার্ক কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী, ফ্যাকালটি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।