বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের ও ভারতের ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

দুই প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অস্ত্র, মাদক ও অবৈধ মুদ্রাপাচারসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।

বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংশোধিত ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবির প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করবে ভারত।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এর আগে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দলের সালামগ্রহণ করেন রাজনাথ সিং।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।

পরদিন শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেলা ১১টার পর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভিসা কেন্দ্র উদ্বোধনের পর দুপুরে রাজশাহী হয়ে সারদার পুলিশ একাডেমিতে যান রাজনাথ। সেখানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন উদ্বোধন করেন দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে তার সম্মানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন রাজনাথ সিং।

পূর্ব ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে শেষে আজ বিকালেই দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি।