রাজধানীতে আনন্দ শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে শোভাযাত্রা বের হয় শেষ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শোভযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শোভাযাত্রায় দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিক ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ, এনজিও কর্মী, স্কাউটসদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এতে অংশ নিয়েছেন।

শোভাযাত্রাটি মিরপুর রোডের রাসেল স্কয়ার ক্রসিং হয়ে কলাবাগান দিয়ে সায়েন্স ল্যাব থেকে বামে মোড় নেবে। সেখান থেকে বাটা সিগন্যাল ও কাঁটাবন ক্রসিং পেরিয়ে শাহবাগ হয়ে ডানে মোড় নিয়ে ছবির হাট হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে শেষ হবে।

এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে। ব্যানার-ফেস্টুন, ঢাক-ঢোল নিয়ে তারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। সকাল ১১টার আগেই ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর এলাকা ছাড়িয়ে বিভিন্ন সড়কে উপচে পড়ে জনতার ঢল।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট গেট (চারুকলার বিপরীতে), টিএসসি গেট, বাংলা একাডেমির বিপরীতের গেট, কালীমন্দির গেট ও তিন নেতার মাজার গেট দিয়ে উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে যুক্ত হওয়ায় দেশজুড়ে এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।