সংসদে ১০০ শীর্ষ ঋণ খেলাপীর তালিকা প্রকাশ

দেশের শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়েছে সংসদে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, ঋণখেলাপীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জন। ঋণখেলাপীদের কাছ থেকে অনাদায়ী টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণখেলাপী এ টাকার পরিমাণ বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রণীত বাজেটের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি।

বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে সংরক্ষিত সর্বশেষ গত জুন মাসের তথ্যানুযায়ী অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকভিত্তিক খেলাপী ঋণের পরিমাণ ও শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপীর তালিকা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমাণ ছিল ৩৬১.৩৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, এই সময়ে বৈদেশিক সাহায্যের প্রাপ্তির (ডিসবার্সমেন্ট) পরিমাণ ছিল ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮৫.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর অনুদানের পরিমাণ ২.৪২ মার্কিন ডলার।

মুহিত সংসদকে আরও জানান, কৃষি ঋণের সুদহার ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ৯ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর আগে এটি ১০ শতাংশ ছিল।

তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ কঅর্থ বছরে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষকদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ একমাসে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৭৮৩ কোটি টাকা টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল মতিনের করা এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত সংসদকে জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।

সংসদে ১০০ শীর্ষ ঋণ খেলাপীর তালিকাটি দেখতে ক্লিক করুন