সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে রোববার বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের প্রতিবাদে ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৭ জুলাই (শনিবার) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় পরের দিন ৮ জুলাই (রোববার) রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

শুক্রবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ এ তথ্য জানান।

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার প্রতিবাদে ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পুলিশ আগামীকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমনে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আগামী ৮ জুলাই ২০১৮ রবিবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।’

বিএনপিকে নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদেনর তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গতকাল ৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) একটি দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তারেকের টেবিলে বিএনপির ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, প্রতিবেদনটি শুধু হাস্যকরই নয়, এটি সরকারের মিথ্যা প্রপাগান্ডার এক উদ্বেগজনক সংযোজন। আমরা নিশ্চিত যে, বিশেষ সংস্থার নির্দেশেই প্রতিবেদনটি তৈরি ও প্রকাশ করা হয়েছে। সারাদেশের মানুষ যখন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার তখন জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরানোর জন্য আওয়ামী সরকারের নির্দেশে দুরভিসন্ধিমূলক সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন সংবাদ পরিবেশন করিয়ে দেশবাসী ও বিদেশিদের দেখানো হচ্ছে যে, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্রে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। নীলনকশার নির্বাচনের ছক জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আবারও একটি একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচন এদেশের মানুষ হতে দেবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা যাবে না। চারদিকে শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আওয়াজ শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিদায় এখন অত্যাসন্ন।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা অব্যাহত রয়েছে। আমি আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে, প্রতারণার পথ ছেড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন। হামলাকারীদের গ্রেফতার করুন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ ।