সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ফিরছে রাজধানী

প্রায় এক যুগ পর আবারো সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ফিরছে রাজধানী। তবে পূর্বের মতো যন্ত্রনির্ভর না হয়ে, এবার যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকছে ট্রাফিক পুলিশের হাতে। সড়কে গাড়ির চাপ বুঝে রিমোটের সাহায্যে পুলিশ নিজেই পরিবর্তন করতে পারবে সিগন্যালের ব্যাপ্তি। নতুন এই পদ্ধতিতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

লাল বাতি জ্বলতেই থেমে গেল গাড়ি। নির্দিষ্ট কাউন্ট ডাউন শেষে হলুদ এরপর জ্বলে উঠলো সবুজ সংকেত। ঠিক তখনই ঘুরতে শুরু করে চাকা। রাজধানীতে সিগন্যাল বাতি মেনে যানচলাচলের এই দৃশ্য একমাত্র দেখা যায় গুলশান দুই নম্বর মোড়ে।

নগরীর বাকি সড়কগুলোতে দেখা যায়, জ্বলে আছে সিগন্যাল বাতি, তবে লাল-হলুদ নাকি সবুজ সেদিকে দৃষ্টি নেই ট্রাফিক পুলিশ কিংবা চালক, কারোই। অথচ সিগন্যাল বাতি মেনেই যান চলার কথা রাজধানীতে।

লতাপাতার ঘরবসতি গায়ে নিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর ৭০টি সড়ক মোড়ে নিষ্কর্ম দাঁড়িয়ে থাকা সিগন্যাল বাতিগুলো আবারো হচ্ছে সক্রিয়।

অধ্যাপক শামসুল হক, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, পুলিশ তার চোখ দিয়ে চাপ দেখবে, যেটাতে গ্রিন দরকার সেদিকে তারা গ্রিন দিবে।

সিটি করপোরেশন বলছে, পূর্বের সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যকর হবে রিমোট কন্ট্রোল অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যাল বাতি। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলামোটরে চালুর পর পর্যায়ক্রমে রাজধানীর ৬২টি ইন্টারসেকশন আসবে এর আওতায়।

মীর রেজাউল আলম (অতিরিক্ত কমিশনার) বলেন, বিশ্বে ট্রাফিক পুলিশই এই কাজ করে।

তবে শতভাগ সুফল পেতে ধীরে ধীরে পুরো দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক শামসুল হক (যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ) ভবিষ্যতে সিগনালের ব্যাপারে এককভাবে দায়ী থাকবে পুলিশ। এজন্য তাদেরকে লোকবল দেয়া হবে।

আশা করা হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নতুন এই উদ্যোগ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যাঁরা থাকেন তাদের কাজকে করবে আরো সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত।

চলমান এই প্রকল্পে পুরানো বাতি মেরামতের পাশাপাশি ২৭ কোটি টাকায় কেনা হয়ছে ১৩৪টি রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্র।