স্বৈরাচারী শাসন চেনার ৮টি নমুনা দিলেন সোহেল তাজ

দেশে ফিরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন সম্প্রতি এমন গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর এই ছেলে। অবশ্য এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় না হলেও জাতীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুতে বরাবরের মতো সক্রিয়া আছেন সামাজিক মাধ্যমে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্বৈরচারী শাসন চেনার আটটি উপায় লিখে ফের আলোচনায় আসেন সোহেল তাজ। তার পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পাঠকের জন্য পোস্টটি তুলে দেয়া হলো-

বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদের হাতেগড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

ইদানিং আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কী তা হয়তো ভুলে গিয়েছি। নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কী তা চিহ্নিত করতে পারি। এর প্রায় সবই ৪ দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থেকে-

স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:

১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যক্ত করতে ভয় পায়।

২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকারকে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।

৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়।

৪. বিনাবিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।

৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।

৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশসহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৭. যখন সাধারণ নাগরিকসহ সকলের কথাবার্তা, ফোনালাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়।

৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।