হাসপাতাল থেকে কারাগারের পথে খালেদা জিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে একটি কালো গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালের ৬১২ নম্বর কক্ষ থেকে বের করে কারাগারের পথে রওনা দেয়া হয়।

কারাসূত্র জানিয়েছে, আজ তার আদালতে হাজিরা আছে। হাসপাতাল থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। হাজিরা শেষ হলে তাকে কারাগারে নেয়া হতে পারে।

এ ছাড়া বিএসএমএমইউয়ের একটি সূত্রও জানিয়েছে, আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং করা হবে। সেখানেই তাকে কারাগারে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সকাল থেকেই বিএসএমএমইউয়ের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। একইভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের আশপাশও।

এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়নি, জামিন চেয়েছে।

তবে আদালত যদি তাকে জামিন দেন, তা হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া অপর আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।

সেদিন আদালত বলেন, রায়ের কার্যকর অংশটুকু ঘোষণা করা হচ্ছে। তিনটি আপিল (খালেদা জিয়া, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ) খারিজ করা হল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা রিভিশন আবেদনের রুল যথাযথ ঘোষণা করা হল। খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড করা হল।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার বাত, ডায়াবেটিস, কোমরে ব্যথাসহ কিছু সমস্যা রয়েছে। বিএসএমএমইউতে তার চিকিৎসা চলছিল।

গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তখন থেকে তিনি বিএসএমএমইউয়ের ৬১২ নম্বর কেবিনে রয়েছেন।