ইসির মামলায় রিমান্ডে ডা. সাবরিনা
প্রতারণা করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অপরাধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্তকৃত চিকিৎসক সাবরিনা চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মইনুল ইসলাম ডা. সাবরিনার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
আজ ডা. সাবরিনাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
গত ৩০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পায় সাবরিনার নিয়ন্ত্রণাধীন জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু সরকারি অনুমতি নিয়ে তারা নমুনা সংগ্রহের নামে মানুষের কাছে করোনার নেগেটিভ-পজিটিভ জাল সনদ বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাদের এ মামলায় চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন