জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার; বাড়ছে কর্মসংস্থান
সরকার গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঁঙ্গা করার লক্ষ্যে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে হাত পাখা শিল্প। জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার ঘটায় অসংখ্য বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশা পাশি ব্যপক চাহিদা থাকায় বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ হাত পাখা তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কোটি টাকা।
জানা যায় সদর উপজেলায় চরাঞ্চল গুলোতে হাতপাখ শিল্পের ব্যপক প্রসার ঘটেছে। লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলসীরচর ও কাজিয়ার চরের প্রায় সব পরিবার হাত পাখা শিল্পের সাথে জড়িত। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, বর্তমান যান্ত্রিক যোগে হাত পাখার ব্যপক কদর রয়েছে। হাত পাখা তৈরিতে বাঁশ লাগে। বাঁশের দাম বাড়ায় পাখার দাম বেড়েছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত গ্রামীন যুব মহিলারা আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। রহিমা(২০) সালেহা(২৮) নামে হাত পাখা শিল্পী জানান প্রায় সব গ্রামের পুরুষ মহিলারা হাত পাখা তৈরি করছে। হাত পাখার কদর থাকার বাজার মূল্য অনেক বেশি।
সরকারের সফল স্বনির্ভর প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতির চিত্র পাল্টে গেছে। এ উপজেলাধীন ডাংধরা, পাররামপুর, হাতীবান্দা, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা এলাকায় হাত পাঁখা শিল্পের ব্যপক প্রসার ঘটেছে। এ শিল্প প্রসারের জন্য বিসিকের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋনের ব্যবস্থা করেছে।
বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের কারুকার্য অংকিত হাতপাখা তৈরি করছে,বেকার যুব মহিলারা। বেশ কয়েকজন হাত পাখা শিল্পী এ প্রতিবেদক কে বলেন কৃষক বান্ধব আওয়ামীলীগ সরকার গ্রামাঞ্চলের যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করেন। বিসিক তা বাস্তবায়ন করায় অসংখ্য পরিবার স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন